খালেদ হোসেন টাপু, রামু:

বন্যার ছোবলে রামুর ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়ক ক্ষতবিক্ষত। সড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যোগাযোগ ব্যাহত, পণ্য পরিবহনে সংকট, চরম জনদুর্ভোগ পোহাচ্ছে লক্ষাধিক মানুষ। সড়কে দুর্ভোগ নতুন কিছু নয়। ভোগান্তি, দুর্ভোগ সঙ্গে নিয়ে যাত্রা চালিয়ে যাচ্ছে যাত্রীরা। সড়কে খানা-খন্দ, সংকীর্ণতা নানা ঝুঁকির মধ্য দিয়ে চলছে যানবাহন। একের পর এক ঘটে যাচ্ছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘ বছর ধরে ঈদগাঁওর খালের উজানী ও পাহাড়ি ঢলে জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙনের কারণে এ সড়কের মেরুকরণও পরিবর্তন হয়ে গেছে। সড়কে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না ঈদগড়-বাইশারীর লক্ষাধিক মানুষ। প্রতি বছর বন্যায় বার বার এ সড়কে ভাঙনের কারণ এখন গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেহাল সড়কটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই।

বর্তমানে ঈদগাঁও ষ্টেশন থেকে সড়কের পানের ছড়া ঢালা পর্যন্ত কোনরকম যানবাহনে পৌঁছে গাড়ি থেকে নামিয়ে সেখান থেকে প্রায় ২০০ ফুট ভাঙন এলাকা পায়ে হেঁটে বিকল্প পথে দিয়ে আবার অন্য গাড়িতে উঠে ঈদগড় ও বাইশারীতে মানুষ চলাচল করছেন।

সড়কের পানের ছড়া ঢালা, গজালিয়া, ভোমারিয়া ঘোনাসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙন এবং নির্মাণাধীন ব্রীজের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়ে ঈদগড়, বাইশারী ও গর্জনিয়ার জনসাধারণ। এছাড়া রাবার প্লট, কৃষি খামার ইত্যাদি উৎপাদিত পন্য সামগ্রীসহ মুমুর্ষ রোগী নিয়ে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে।

গত ২৫ জুলাই কক্সবাজার জ-০০-১০৪ নং বাসটি (হিললাইন) ঈদগড় থেকে যাত্রী নিয়ে পানেরছড়া ঢালায় ভাঙন এলাকা পারাপারের সময় বাসটি উল্টে যায়। সে থেকে ১ সপ্তাহ ধরে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পাহাড়ের সরু পথ সৃষ্টি করে মানুষ চলাচল শুরু করে। খাল ও পাহাড়ের চিরে নির্মিত ঈদগড়-ঈদগাঁও ১০ কিলোমিটার সড়কই মরণ ফাঁদ। বারবার যান চলাচল বিঘিœত হওয়ায় এ এলাকায় পণ্য পরিবহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলে ভয়াবহ সমস্যা দেখা দিয়েছে।

ঈদগড় ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভূট্টো জানান, টানা বর্ষণে ঈদগাঁও খালের উজানী ঢলে ঈদগড় ঈদগাঁও সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙনের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে এবং সড়কের পাশে বিকল্প রাস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ যাতায়াত করছে। তিনি আরও জানান, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিসহ মূমুর্ষূ রোগী, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তিনি দ্রুত ভাঙন সংস্কার করে জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

এ প্রসঙ্গে রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম বলেন, বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে ঈদগড় ঈদগাঁও সড়কের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এ বিষয়ে দ্রুত ভাঙন সংস্কারের জন্য এলজিইডি বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে।

এলজিইডির কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এস এম শাহেদুর রহিম জানান, বন্যায় ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন সংস্কার করার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৫/২০ দিনের মধ্যে এসব ভাঙনের সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।